‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ দেখতে ভালবাসেন তিনি। তবে জীবন তো আর কমেডি নয়! তাই সংগ্রামটা শুধু কুস্তির ম্যাটেই নয়, ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অলিম্পিকে পদকজয়ী আমন সেহওয়াতের লড়াইটা জীবনেরও। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন, জিতে গেছেন জীবনযুদ্ধেও। যাঁদের পদক উৎসর্গ করলেন, তাঁর মা-বাবা, তাঁরা কেউ জানতেই পারেননি কুস্তিগির হয়ে গেছেন তাঁদের ছেলে আমন। মাত্র ১১ বছর বয়সেই অনাথ। নিরাপদ আশ্রয় নেই। বোনের সঙ্গে কাদায় মারপিট করেই দিন কেটে যেত। দাদুর কাছেই বড় হয়ে ওঠা। সুশীল কুমারকে আইডল করেই কুস্তিতে আসেন তিনি। ছত্রশাল আকাদেমিতে হাতেখড়ি। সেখান থেকেই উত্থান। সুশীল যখন ১২ বছর আগে অলিম্পিকে পদক জেতেন, তখন আমনের বয়স ৯। লক্ষ্যটা তখন থেকেই স্থির করে ফেলেন। এরপর শুধু সাধনা। প্রথম ভারতীয় হিসেবে অনূর্ধ্ব-২৩ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে সোনা পান। তার আগে জেতেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপও। এরপর পরের ধাপ। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন। এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পান। লক্ষ্যটায় যেন ধাপে ধাপেই এগিয়েছেন। এরপর ২১-এই জিতে নিলেন অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ পদক। তরুণ আমন, ভবিষ্যতের আশা আরও বাড়িয়ে দিলেন।