বিগত কয়েকদিন ধরেই টলিপাড়ায় চলছিল যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদের জল্পনা। কিন্তু এই জল্পনার মাঝেই এবার মনে হচ্ছে বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী। যদিও কুড়ি বছরের দাম্পত্যের পর এই বিচ্ছেদ শুধুমাত্র কয়েক দিনের ঘটনার পরিণাম নয়। প্রায় তিন বছর একটানা বেড়েই চলছিল এই দূরত্ব। এই মুহূর্তে অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত ফিরে গিয়েছেন তাঁর পুরনো গল্ফ গার্ডেনের বাড়িতে। নীলাঞ্জনা, জ়ারা, সারা এবং নীলাঞ্জনার বোন চন্দনার সঙ্গে তাঁর কোনও বাক্যালাপই নেই।
কয়েকদিন আগেই বাবাকে নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে আনফলো করেছেন সারা। মায়ের শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে বড়ো মেয়ে সারা ও ছোট মেয়ে জ়ারা। ঘনিষ্ঠমহলে নীলাঞ্জনা স্বীকার করে নিয়েছেন, দুই মেয়ের সমর্থন না থাকলে এই পরিস্থিতিতে তিনি হয়তো উঠে দাঁড়াতে পারতেন না। যিশু যদিও এখনও বিচ্ছেদের এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে নীলাঞ্জনা বন্ধুমহলে জানিয়েছেন, যে শিনাল সুর্তিকে তিনি বন্ধু হিসাবে তাঁর বাড়িতে জায়গা করে দিয়েছিলেন, মেয়েদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, সেই শিনাল যে তাঁর স্বামীর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন এমনটা তিনি কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। নীলাঞ্জনার বাবাও খুব ভেঙে পড়েছেন। একদিকে সদ্য স্ত্রীকে হারিয়েছেন তিনি। তার উপর মেয়ের এত দিনের সংসারে ভাঙন মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তবে নীলাঞ্জনার বোন চন্দনা সবসময় রয়েছে তাঁর দিদির পাশে।
খুব তাড়াতাড়ি হয়তো নীলাঞ্জনার তরফে মিলবে বিচ্ছেদের নোটিস। শোনা গিয়েছিল, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় যিশু-নীলাঞ্জনার বিবাদ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এই সময় বিচ্ছেদের জন্য মনস্থির করে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা।