আরজি কর কাণ্ডের আঁচ পড়শি দেশ পাকিস্তানেও। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনার মতো পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদ করে লিখিত বিবৃতি দিল সেদেশের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার সকালে বিবৃতিটি দিল্লিতে এসে পৌঁছেছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করুক ওয়ার্ল্ড মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। দোষীকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে তারা পদক্ষ্প নিক।
গত ন আগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ঘুমিয়ে থাকার সময় ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক তোলপাড় দেখা দেয়। প্রতিবাদে ফেটে পড়েন চিকিৎসক-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। কলকাতা ছাড়িয়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য রাজ্যে। গত চোদ্দ আগস্ট মাঝরাতে রাতদখল কর্মসূচিতে অংশ নেয় হাজার মহিলা। তাতে সামিল হন সর্বস্তরের মানুষ।
ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে তার পরেও প্রশমিত হয়নি ক্ষোভ। এদেশের গণ্ডী পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। সেখানেও রাতদখল কর্মসূচিতে অংশ নেন হাজার হাজার প্রবাসী মহিলা। বিবৃতিতে পাকিস্তানের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল গফুর শোরো জানিয়েছেন বিশ্বের সর্বত্র স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িত মহিলাদের নিরাপত্তা অটুট রাখতে হবে। আরজি করের ঘটনায় পাকিস্তানের চিকিৎসক মহল অত্যন্ত ব্যথিত। তাঁরা মৃতার পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছেন।