১৯ আগস্ট দিল্লি গেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সরকারের তুমুল নিন্দা করেছিলেন রাজ্যপাল। তার ঠিক ২৪ ঘন্টা পরেই দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন সিভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আগে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। অন্যদিকে দিল্লিতে রাজ্যপালের এই সাক্ষাৎকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল।
দলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপালকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে কোনও নির্দেশের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা তৈরির একটা বড় প্লট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৈরি করছেন। দিল্লিতে কোনও নেতা কি চক্রান্ত করতে চাইছেন? রাজভবন এই চক্রান্তে যুক্ত কিনা সেই প্রশ্ন আমরা তুলছি।’ রাজভবনকে হাতিয়ার করে গেরুয়া শিবির পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে বলে তৃণমূল অভিযোগ করায় বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে সরকার একটি হাসপাতালে সুরক্ষা দিতে পারে না, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হয়, সেখানে সরকারি মেশিনারি যে ভেঙে পড়েছে–তা না বললেও চলে। মানুষ তো এখন এটাই বলছে, বিজেপির সঙ্গে সেটিং রয়েছে বলে এই সরকার টিকে রয়েছে, না হলে পড়ে যেত। একটি কথা আমরা স্পষ্ট করছি, ৩৫৬ ধারা জারি করে কোনও নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া বিজেপির নীতি নয়।’
রাজ্যপাল নিজে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই কথোপকথনের ভিডিও আবার টুইটারে রাজভবনের তরফে পোস্ট করা হয়েছে। এ নিয়েও সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটার-পোস্টে লিখেছেন, ‘ধর্ষিতার বাবার সঙ্গে ফোনে কথোপকথন আপনি রেকর্ড করিয়েছেন এবং প্রচার করেছেন। এটা অনৈতিক এবং জঘন্য। নিজের প্রচারের জন্য রাজভবনকে ব্যবহার করবেন না।’