More
    Homeকলকাতাবিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ ‘লোকদেখানো’ আন্দোলন চলবে না

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ ‘লোকদেখানো’ আন্দোলন চলবে না

    আরজি করের ঘটনা নিয়ে বিজেপি পথে নামলেও এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও আন্দোলনই সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। পথ অবরোধ থেকে শুরু করে মিছিল সবই নামমাত্র হয়েছে বলে মনে করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপিকে তাঁদের নির্দেশ, আন্দোলন করলে তাকে আন্দোলনের চেহারা দিতে হবে। ‘লোকদেখানো’ বিক্ষোভ আর সংবাদমাধ্যমে কথা বললে চলবে না।

    আর সেই বার্তা পাওয়ার পরেই দলের রাজ্য নেতারা বুধবার থেকে পাঁচ দিনের ধর্না নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করেছে। সব নেতাদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক ‘সফল’ করতে খুঁটিনাটি সব পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বু‌ধবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো আন্দোলনেই রয়েছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের অপসারণ এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আগে আমাদের আন্দোলন থামবে না।’’ আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে অনেক বেশি পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। ছোটখাটো কিছু মিছিলে হেঁটেছেন সুকান্ত-সহ অন্য রাজ্য নেতারা। ডার্বি বাতিলের পরের প্রতিবাদেও বিজেপির কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। কল্যাণ চৌবে গেলেও তিনি আইএফএ সভাপতি হিসাবে গিয়েছিলেন।

    এই সব দেখার পরেই মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যের নেতাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে ছিলেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল ও মঙ্গল পাণ্ডে। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেই বনসল বলেন, ‘‘এ ভাবে লোকদেখানো আন্দোলন করলে হবে না। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের চরিত্র এমন হতে পারে না। আন্দোলন করলে তা আন্দোলনের মতো করতে হবে। লোকে যেন বুঝতে পারে।’’ ওই বৈঠকেই বুধবার এবং বৃহস্পতিবার কিভাবে আন্দোলন শুরু হবে তা ঠিক করা হয়। শ্যামবাজারে পাঁচ দিনের ধর্না পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহকে। স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের দায়িত্ব পান পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। ‘বিচার চাই’ স্লোগানের সঙ্গে ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’ স্লোগানের মিশেল ঘটানো যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে হাজির না থাকলেও ধর্নামঞ্চে আসার কথা রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর। আদালতের নির্দেশ মেনেই কর্মসূচি চালানো হবে। ধর্নামঞ্চের সামনে তিনশোর বেশি কর্মী না-থাকা নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্য বিজেপি তালিকা তৈরি করে ঠিক করেছে একটি করে জেলা থেকে তিনশো কর্মী আনতে হবে। তাঁরা তিন ঘণ্টা করে থাকবেন। বুধবার থাকছে কলকাতা দক্ষিণ, উলুবেড়িয়া এবং আরামবাগ জেলা। প্রতি দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্তা দফায় দফায় বিভিন্ন জেলার কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments

    AI Calculator

    Calculate Facebook Earning and calculate EMI for loans, or compute GST.


    This will close in 20 seconds