আর জি করে বেশ কিছু গোপন তথ্য জেনে গিয়েছিলেন নিহত ওই তরুণী চিকিৎসক। সেই অপরাধেই খুন হতে হয়েছে নির্যাতিতাকে। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন আর জি করের নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁর মায়ের অভিযোগ, গোটা ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তরুণী চিকিৎসকের মা বলেন, “আমার মেয়েকে খুন করানোর জন্যই কাজে লাগানো হয়েছিল সঞ্জয়কে। ও ভয় পাচ্ছিল যে সন্দীপ ঘোষ এমডি পরীক্ষায় ওকে ফেল করিয়ে দেবেন।” শেষবার যখন মায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়, তখন আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ফোনে জানিয়েছিলেন যে বাবার জন্য ওষুধ অর্ডার করে খাওয়াদাওয়া সারবেন।
৩৬ ঘণ্টা কাজ করার পরেও মন দিয়ে পড়াশোনা করতেন তরুণী চিকিৎসক। কোভিডের সময় একটানা চার দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করেছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। গোল্ড মেডেল পাওয়ার ইচ্ছেও ছিল তাঁর। সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার মা জানান, “ওরা ঘটনাটা লুকানোর চেষ্টা চলছে। আমার মেয়ের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। কেন চার ঘণ্টা পরে মেয়ের মুখ দেখতে দিল? কী লুকাতে চাইছে? ওরা তো হুড়মুড় করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করছিল।” মেয়েকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেও মেয়ের সুবিচারের লড়াই চালিয়ে যেতে চান নির্যাতিতার মা।