আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে জোরকদমে তদন্ত করছে সিবিআই। দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে মামলা। এবার ধর্ষণ-খুনের রাতে ধৃত সঞ্জয় রায়ের আরজি কর হাসপাতালের চার তলায় ঢোকার সিসিটিভি স্ক্রিন শট প্রকাশ করলেন তদন্তকারীরা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ধৃত সঞ্জয়ের ঘাড় থেকে ঝুলছে ব্লু টুথের তার। পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক অনুসন্ধানের সময় তারা অকুস্থল থেকে ব্লু টুথের এয়ারফোন দেখতে পেয়েছিল। যার সূত্রেই সঞ্জয়কে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ফুটেছে দেখা গিয়েছে রাত একটা তিন নাগাদ সঞ্জয় হাসপাতালের চারতলায় ঢুকেছিল। জেরার সময় পুলিশ তাকে ওই সিসিটিভি ফুটেজ দেখায়। তখন সে অপরাধের কথা স্বীকার করে। ওইসময় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের আগে সে দুটি যৌনপল্লিতে গিয়েছিল বলে তদন্তে ধৃত পুলিশকে জানিয়েছিল। তদন্তকারীরা জানান আট আগস্ট রাত আটটা নাগাদ সঞ্জয় প্রথমে সোনাগাছি যায়। সেখানে আকণ্ঠ মদ্যপান করে। তারপর আরও দুটি যৌনপল্লিতে পরপর যায়। তারপর মাঝরাতের পর সঞ্জয় সোজা চলে আসে আরজি কর হাসপাতালে। তার হাসপাতালের সেমিনার রুমে ঢোকার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছেন তদন্তকারীরা।
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘিরে উত্তাল সারাদেশ। সর্বত্রই আওয়াজ উঠেছে সুবিচার চাই। সুনিশ্চিত করা হোক মহিলা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা। বিশেষ করে প্রতিবাদ আছড়ে পড়েছে শহর কলকাতায়। শুক্রবার কলকাতার একটি বিশেষ আদালত তার পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দেয়। ইতিমধ্যে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ-সহ আরও চার চিকিৎসকের লাই ডিটেক্টশন টেস্টেরও অনুমতি দিয়েছে আদালত।