আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়ে আছে রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতর ও আরজি কর হাসপাতাল ঘেরাও করেছিল আন্দোলনকারীরা। এর পরই আবার ‘নবান্ন চলো’ অভিযানে ডাক দিল ছাত্র সমাজ। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নামে একটি সংগঠন। কিন্তু, এই নবান্ন অভিযানের পেছনে’ বড় চক্রান্ত’ রয়েছে বলে দাবি করা হল তৃণমূলের তরফে। সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘একটা বড় চক্রান্ত চলছে আগামীকালের মিছিলকে কেন্দ্র করে। শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। ওরা বলছে বডি চাই।’
তৃণমূলের দাবি, এই অভিযানের পেছনে আরএসএস সহ বিভিন্ন সংগঠনের হাত রয়েছে। গুলি চালানোর জন্য প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। কাউকে প্ররোচনায় পা না দেওয়ার ব্যাপারে আবেদন জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, নতুন করে একটি সংগঠন ছাত্র সমাজ নাম দিয়ে এই অভিযানের ডাক দিয়েছে। কয়েকজন ছাত্রকে সামনে রেখে বিজেপি, আরএসএস এই অভিযানের পেছনে সহযোগিতা করছে। এমনকী, ছাত্র সমাজের যে তিনজন ব্যক্তি সামনে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন জয়প্রকাশ মজুমদার।
তৃণমূলের আরও দাবি, ‘নবান্ন চলো’ অভিযানে বাইরে থেকে লোক আনা হতে পারে। তবে, এই মিছিল আদতে বেআইনি এবং অবৈধ বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এই প্রসঙ্গে, কুণাল বলেন, ‘আপনারা যদি হলেন জাস্টিস ফর আরজি কর, তাহলে আমাদেরও একই স্বর। কিন্তু, যদি বলেন রিজাইন মমতা, তাহলে আমরা বলব, ময়দানে বুঝে নেবে জনতা।’