আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্যসহ সারা দেশ। রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। আর এর মধ্যে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা দেশই ধর্ষণের মতো জঘন্য এই অপরাধের ঘটনা বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু চিঠির কোনও উত্তর পাননি। এরপর শুক্রবার মোদিকে দ্বিতীয় চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে কড়া আইনের দাবি আরও একবার জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে এই বিষয়ে আগের চিঠিতে আবেদন করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই চিঠির কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। তবে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে উত্তর পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তরফে কোনও উত্তর মেলেনি বলেও উল্লেখ। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পুরো বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর বলেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের মধ্যেই গত ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রথম চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ করেন, প্রত্যেকদিন কার্যত দেশে ৯০ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
বহু ক্ষেত্রে নির্যাতিতাকে খুনও করা হয়। আর তা করতে কড়া কেন্দ্রীয় আইনের পক্ষে সওয়াল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রে যাতে ফাস্ট ট্র্যাকের কোর্টের আওতায় অভিযুক্তকে এনে দোষী সাব্যস্ত করা যায় এবং কড়া ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় সেই কথা জানানো হয়। উল্লেখ্য, ধর্ষণ রোধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ধর্ষকদের এনকাউন্টারের পক্ষেও জোরাল সওয়াল করেন। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে কেন্দ্র যাতে কড়া আইন আনে সেজন্য সমস্ত রাজ্যের সরকার চাপ সৃষ্টি করে তা নিয়েও বক্তব্য দেন ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ। আর এরপরেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া আইনের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রথম চিঠি দেন।