‘সমালোচিত হয়েছিলাম কিন্তু শালীনতাহানি হয়নি, তখন সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না…’ স্বনামধন্য নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম হালদারের পাশে দাঁড়ালেন ‘বেণীমাধব’-এর গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র। সম্প্রতি জয় গোস্বামীর কবিতাকে নিজের মতো করে উপস্থাপন করেছেন গৌতম হালদার। আর তাতেই নেটমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে অভিনেতা। এ বার এই বিষয়ে মুখ খুললেন লোপামুদ্রা মিত্র। তিনি লেখেন, ‘একজন সৃজনশীল নাট্যব্যক্তিত্ব, মননশীল শিল্পী গৌতম হালদার তাঁর মতো করে উপস্থাপন করেছেন কবি জয় গোস্বামীর ‘মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়’। বহু দিন যাবৎ তিনি মঞ্চে নাটক, গান, কবিতা ও বিভিন্ন মাধ্যমে অভিনয় চর্চা করে চলেছেন। তাঁর নিজের শিল্প ভাবনা, তাঁর দীর্ঘদিনের গবেষণা রয়েছে তাঁর প্রতিটি কাজের মধ্যে। অনেক শ্রোতা-দর্শকের সেই উপস্থাপনা মনোজ্ঞ মনে হয়নি। সব কাজ সকলের ভাল না-ই লাগতে পারে। শিল্প-সাহিত্য, জীবনবোধ সবটাই, যেটা আমার কাছে ভাল, সেটা মন্দ তোমার কাছে। এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমার গাওয়া বেণীমাধব ভাল লাগেনি, এমন মানুষও অনেক আছেন। স্বয়ং কবি যে দিন প্রথম শুনেছিলেন গানটি, তাঁর প্রশ্ন ছিল, কেন একেবারে শেষে ‘বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাব’ ফিরিয়ে আনা হল?’ সঙ্গীতশিল্পী জানান বহুবার তিনিও সমালোচনার মুখে পড়েছেন কিন্তু শালীনতার সীমা অতিক্রম হয়নি। যদিও এর অন্যতম একটি কারণ হল সেইসময় সমাজমাধ্যমের রাজত্ব না থাকা। তিনি লেখেন, ‘আরও অনেক কবিতা-গানেরই সমালোচনার সামনে পড়েছিলাম আমরা। কিন্তু কোথাও অপমানিত হতে হয়নি। শালীনতাহানি হয়নি আমাদের। সেই সময়ে তো সমাজমাধ্যম ছিল না। থাকলে কী ঘটত জানি না! আমার আজকের এই লেখার কারণ হল, শিল্পী, সাহিত্যিক, গায়ক, অভিনেতা, যাঁরা দীর্ঘ দিন একটা সাধনার মধ্যে দিয়ে নিজেদের পায়ের তলার জমি তৈরি করেছেন, সম্মান ও শ্রদ্ধার আসন তৈরি করেছেন, তাঁদের তো বটেই, এমনকি আমরা কোনও মানুষকেই প্রকাশ্যে এই ভাবে অপমান করতে পারি না। অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে পারি না। আমরা আলোচনা করতে পারি, তাঁর উপস্থাপনা নিয়ে। কিন্তু, এ রকম উচ্চমানের শিল্পীকে এ ভাবে কটূক্তি করতে পারি না।’