চুলের যত্ন নিতে ঘরোয়া অনেক টোটকাই আমরা কাজে লাগাই। যদিও পার্লারে গিয়ে চুলের যত্ন করাই যায় কিন্তু তা বেশ খরচ সাপেক্ষ তাই প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন করে চুলের যত্ন নিতে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে ভালো। তবে সমাজমাধ্যমে চুল ভাল রাখার এক পুরনো টোটকা বলছে, চালের জল দিয়ে চুল ধুলে তা সত্যিই থাকে তরতাজা এবং ঝলমলেও।
চাল ধোয়া জলে কী আছে?
চাল ধোয়া জলে আছে প্রচুর আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। যা চুলের জন্য খুবই উপকারী। তবে তার সঙ্গে ওই জলে রয়েছে ইনোসাইটল বা ভিটামিন বি-৭। তা চুলের জেল্লা ফেরানোর কাজ করে। একসঙ্গেই ফিরিয়ে আনে স্বাস্থ্যোজ্জ্বলতা। এ ছাড়াও, চালের জলে থাকে মাড়। যা চুলের শুষ্ক ভাব কমিয়ে নমনীয়তা নিয়ে আসে।
চাল ধোয়া জল দিয়ে কী ভাবে বানাবেন বিশেষ চুলের লোশন?
লোশন বানানোর জন্য কাঁচা এবং সার ব্যবহার না করা চাল কিছুটা একটি কৌটোয় রেখে তাতে ১-২ গ্লাস ঠান্ডা জল দিন যাতে চাল সম্পূর্ণ ডুবে যায়। এর পর যতক্ষণ না জল ঘোলা হয়ে যাচ্ছে ততক্ষন মিশ্রণটিকে ভালো করে ঝাকিয়ে নিতে হবে। তার পরে ১২-২৪ ঘণ্টা ঢাকনা বন্ধ করে রেখে জারিত হতে দিন। এখানে যদি অর্গ্যানিক বা সারহীন চাল না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে রাসায়নিক উপাদানগুলি থেকে মুক্তি পেতে চাল একবার ধুয়ে ভেজানো যেতে পারে। নির্দিষ্ট সময় পরে জল ছেঁকে নিয়ে আলাদা পাত্রে ঢেলে রাখুন। তবে চালটা কিন্তু এর পরেও খাওয়া যাবে। আবার ভাত রান্নার পরে যে জলটা ঝরিয়ে দেওয়া হয়, সেই মাড়ের জলও চুলে লাগানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রথমে জলটা ঠান্ডা করে নিতে হবে। তার পরে রেখে দিতে হবে ১২-২৪ ঘণ্টা। তা হলেই তৈরি হবে লোশন।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
চুলটা ওই জলে ভেজান। এক ঘণ্টা রেখে দিন। তার পরে সাধারণ পদ্ধতিতে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। কন্ডিশনারও লাগান। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলেই দ্রুত দেখতে পাবেন ফলাফল।