আরজি কর ঘটনার বিচারের দাবিতে ৩৯ দিনে পড়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার পরেও নিজেদের পাঁচ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। পাঁচ দফা দাবি দাওয়া মানাকে কেন্দ্র করে ফের একবার আলোচনায় বসার জন্য মেল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যতক্ষণ না সব দাবিদাওয়া মানা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ আঁকড়েই পড়ে থাকবেন তাঁরা, এমনটাই জানানো হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে। ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নিজেদের পাঁচ দফা দাবি রাখতে পেরেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের বেশকিছু দাবিকে মান্যতা দিয়েছে রাজ্য সরকার। চিকিৎসকদের সেই দাবি মেনে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, ডিসি নর্থসহ স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানো হয় সরকাররে তরফে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে কবে থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগদান করবেন? এই প্রশ্নেরই উত্তরে তারা জানায় এখনই কর্মবিরতি তুলে দেওয়া হচ্ছে না। এই সিন্ধান্তের পিছনে তাঁদের যুক্তি, পাঁচ দফা দাবির চতুর্থ এবং পঞ্চম দফা এখনও পূরণ হয়নি। সেই নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসতে চান তাঁরা। ইতিমধ্যেই আলোচনা চেয়ে মুখ্যসচিবকে ইমেল করার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই বৈঠকের উপরেই নির্ভর করছে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ। মঙ্গল রাতে জিবি মিটিং-এর পর জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন,” আমরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা চাই। আমরা চাই না ফের হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা ঘটুক। আমাদের চতুর্থ এবং পঞ্চম দাবি মানা হয়নি। তাই আমরা মনে করি সাধারণ মানুষের স্বার্থে সরকারি হাসপাতালে সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকারের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা হওয়া উচিত।” আলোচনা চেয়ে ফের মুখ্যসচিবকে ইমেলের পরিকল্পনা জুনিয়র ডাক্তারদের।