আরজি কর কাণ্ডে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সেই তলব পেয়ে বৃহস্পতিবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে যান মীনাক্ষী। সিবিআই দফতরে ঢোকার মুখে ফের একবার মিনাক্ষীর নিশানায় কলকাতা পুলিশ। “পুলিশ জোর করে মৃতদেহ বের করছিল, আমরা গাড়ি আটকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দু’টো মিনিট কথা বলতে চেয়েছিলাম।” সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের সোচ্চার দাপুটে বামনেত্রী। “নির্যাতিতার দোষীরা যাতে তাড়াতাড়ি শাস্তি পায় তার জন্য এসেছি। পুলিশ জোর করে মৃতদেহ বের করছিল, আমরা গাড়ি আটকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দু’টো মিনিট কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমরা চাই নির্যাতিতার দোষীরা শাস্তি পাক। আন্দোলনকে কোনও মতেই ঘোরানো যাবে না। নির্যাতিতা যাতে বিচার পান সব রকম সহযোগিতা করব।”
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করে সিবিআই। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। গত ১৪ আগস্ট ‘রাত দখলের’ ডাক দেয় মেয়েরা। সেই কর্মসূচি চলাকালীন আরজি কর মেডিকেল কলেজে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চলে হাসপাতালের ভিতরের বিভিন্ন ঘরে। আরজি করে সেই ভাঙচুরের সময় হাসপাতাল চত্বরেই ছিলেন মীনাক্ষীরা। সেই কারণেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠায় সিবিআই।
এদিকে, আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় খোলনলচে বদলের দাবি তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ৫ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চলছ তাঁদের টানা আন্দোলন। জট কাটাতে বারবার বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র। কাটল না জট। বুধবার নবান্নের বৈঠকে হতাশ জুনিয়ার ডাক্তাররা। কয়েক ঘন্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে মিনিটসে সই না করেই বেরিয়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। অচলাবস্থা না কাটায় তাঁদের কর্মবিরতিও এখনই উঠছে না।