৪২ দিন ধরে ধর্না- কর্মবিরতির পর অবশেষে কাজে ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যদিও সম্পূর্ণভাবে পরিষেবা দেবেন না এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন আন্দোলনরত ট্রেনি চিকিৎসকরা। সেই মতো মাত্র ৫০ শতাংশ ডাক্তার এমার্জেন্সিতে কাজে যোগ দিলেও, ওপিডিতে তাঁদের দেখা মিলছে না। কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্রই একই ছবি। শনিবার সকাল থেকে কাজে ফিরলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রতিশ্রুতি মতো আপাতত জরুরি বিভাগে কাজে ফিরেছেন তাঁরা। তবে এখনও আউটডোরে রোগী দেখছেন সিনিয়ররাই। রাজ্য সরকার কয়েকটি শর্ত মানলে তবে আউটডোরে ফের কাজে ফিরবেন বলেই জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
গত ৯ অগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে কর্মবিরতি পালন করছিল ডব্লুবিজেডিএফ। দফায় দফায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার জেনারেল বডি মিটিংয়ের পর আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা কর্মবিরতি আংশিক তুলছেন। শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত ন্যায় বিচারের দাবিতে মিছিলের পর যে যার নিজের কলেজে ফিরে যান আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। আজ থেকে ধাপে ধাপে কাজে ফিরছেন তাঁরা। যদিও বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যে আগামী ২৭ তারিখ সুপ্রিম সুনানির দিকে তাঁদের নজর থাকবে এবং প্রয়োজনে তাঁরা পুনরায় কর্ম বিরতির পথে হাঁটতেও পারেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে ডা. অনিকেত মাহাতোর অভিযোগ, “একমাসের বেশি সময় ধরে সিবিআই তদন্ত করছে। কতটা তদন্ত এগোল এসব তো মানুষ জানতে চাইছে। আমরাও জানতে চাই।” আরেক জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের সাফ কথা, “আন্দোলন বন্ধ হয়ে গেল এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। তদন্ত প্রক্রিয়া ঠিকমতো না এগোলে দশ দিন পর আবার ফেরত আসা হবে।” স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিলে স্লোগান উঠেছে, “আর কতদিন সময় চাই/ জবাব দাও সিবিআই।”