শনিবার দুপুরে স্থানীয় এবং রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের কয়েক জনকে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে যান বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানান, এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিকদের হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের আপত্তি রয়েছে। একই ভাবে আপত্তি জানান হাসপাতালের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরাও। সেই কারণেই বাঁধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এবং শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের গেট থেকেই ফিরে যায় অধীর।
এরপর আর জি কর হাসপাতালে যাওয়ার আগে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতেও যান অধীর। তবে এর আগেও গত ১৪ অগস্ট নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তবে এদিন হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে আর জি করের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে অধীর বলেন, “নেতা হিসাবে নয়, সহমর্মী মানুষ হিসাবে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলাম। তাঁদের বলতে এসেছিলাম, আমরা তোমাাদের পাশে রয়েছি।” আরজি কর হাসপাতালের গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অধীর বলেন, “বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। সব ঘটনা ঘটে গেল। ঘরের মেয়েটা অকালে চলে গেল। আর এখন এত পুলিশ, এত ব্যারিকেড। এই কাজগুলি আগে হলে অপরাধের ঘটনা ঘটত না। অধীর এ-ও দাবি করেন যে, নির্যাতিতার পরিবারকে বাড়িতে কার্যত গৃহবন্দি করে রেখেছে পুলিশ।”