আরজি কর কাণ্ডে বারে বারে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সঠিক সুবিচার পাওয়া নিয়ে যেখানে উত্তাল হয়ে আছে সারা দেশ সেই পরিস্থিতিতে সামনে এল সেমিনর রুমের একটি ভাইরাল ভিডিও। যেই ভিডিও ইতি মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতে উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। সেমিনার রুমে পড়েছিল তিলোত্তমার দেহ। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর বাবা-মা। সাড়ে তিন ঘণ্টার অপেক্ষা। মেয়েকে দেখতে পাওয়ার অনুমতি মিলছিল না তাঁদের। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেয়েকে দেখতে পাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন তাঁরা। নির্যাতিতার মা তেমনই দাবি করেছেন আদালতে। প্লেস অফ অকারেন্সে প্রবেশ ‘নিষিদ্ধ’ ছিল সহকর্মী, সাংবাদিকদেরও। কিন্তু সেদিন সেমিনার রুমে দেখা মিলেছে ‘বহিরাগত’দের অনেকেরই। যাঁদের সে সময়ে সেখানে থাকার কথাই ছিল না। সেমিনার রুমের সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইউএনলাইভ নিউজ।
যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চারতলার ওই সেমিনার হলে থিকথিক করছে বহু মানুষের ভিড়৷ তাঁদের মধ্যে পুলিশের আধিকারিকরা যেমন রয়েছে, তার পাশাপাশি হাসপাতালের পদস্থ কর্তাদেরও দেখা যাচ্ছে৷ ভিডিওতে হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও দেখা গিয়েছে৷ এর পাশাপাশি হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস সোমকেও দেখা গিয়েছে৷ এ ছাড়াও ভাইরাল ভিডিওতে ঘটনাস্থলে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ আইনজীবী শান্তনু দে-কেও দেখা গিয়েছে৷ আবার সন্দীপ ঘোষের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ও ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে ভিডিওতে দেখা গিয়েছে৷ প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেটা এন্ট্রির কাজ করেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর৷ ফলে প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন এমন ব্যক্তিরাও কী করে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন৷ শুধু তাই নয়, ওই ভাইরাল ভিডিওতে পরিষ্কার, সেমিনার রুম বলে দাবি করা ওই ঘরের ভিতরে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী সহ বহু মানুষের ভিড় রয়েছে৷ তবে, নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধারের কতক্ষণ পর এই ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে অথবা সেই সময় নির্যাতিতার মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়৷