গত রবিবার ছিল ডুরান্ড কাপের ডার্বি। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গ্যালারিতে ‘প্রতিবাদী’ টিফো নামানোর পরিকল্পনা করে দুই প্রধান মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা। কিন্তু ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ আচমকাই শনিবার দুপুরে সেই ম্যাচ বাতিল করে। যদিও বাতিল করেও থামানো যায়নি প্রতিবাদ। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা একজোট হয়ে যুবভারতীর সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অনীশ সরকার জানান, “কিছু লোক, কয়েকটি সংগঠন ম্যাচে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিল। আমরা আগাম সেই খবর পেয়েছিলাম। বিষয়টি ডুরান্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। উপস্থিত ৬০-৬২ হাজার দর্শকের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” শুধু তাই নয় এমনকি এমনকি ডুরান্ডের বাকি ম্যাচগুলোও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার বাইরে।
এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার একসঙ্গে বৈঠক করে কলকাতার তিন প্রধান। মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে একযোগে তিন প্রধান দাবি করেছিলেন, নির্ধারিত সূচি মেনে কলকাতাতে খেলা হোক ডুরান্ড কাপের ম্যাচ। পরের দিনই পুলিশের তরফে টুর্নামেন্ট আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল যদি সেমিফাইনালে ওঠে তাহলে ঘরের মাঠেই দর্শকদের সামনে খেলতে পারবে দুই দল। জানা গিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই কলকাতায় ডুরান্ডের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলা হবে। তবে এখনও এই নিয়ে সরকারি ঘোষণা হয়নি। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরে ডুরান্ডের সূচি নিয়ে ঘোষণা করবে কর্তৃপক্ষ।