ঝলসানো মাংসের সুবাস, মসলার তীব্র গন্ধ, আর সাথে নরম রুটি – এই কতগুলি উপাদান মিলেই তৈরি হয় আমাদের প্রিয় খাবার কাবাব। কিন্তু কি জানেন, এই সুস্বাদু খাবারের ইতিহাস কতটা পুরনো?
উৎপত্তি:
কাবাবের উৎপত্তি নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।কেউ কেউ মনে করেন এর উৎপত্তি মেসোপটেমিয়ায়, আবার কেউ কেউ মনে করেন এটি উদ্ভূত হয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে।তবে, অনেকে বিশ্বাস করেন যে আধুনিক কাবাবের উৎপত্তিস্থল তুরস্ক।
প্রাচীন তুর্কি যাযাবররা যুদ্ধের সময় শিকার করা মাংস আগুনে ঝুলিয়ে রান্না করে খেতেন।ধীরে ধীরে এই রান্নার প্রণালী বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে মিশে নতুন নতুন রকমের কাবাব তৈরি হয়।
ভারতে কাবাব:
ভারতে কাবাবের আগমন মোঘল আমলে।মোঘলরা তাদের রান্নার সাথে কাবাবকেও ভারতে নিয়ে আসেন।ধীরে ধীরে কাবাব ভারতীয় রন্ধনপ্রণালীর অংশ হয়ে ওঠে এবং এখানেও এর নানা রকমের আঞ্চলিক রূপ তৈরি হয়।আজকের দিনে ভারতে বিভিন্ন ধরণের কাবাব পাওয়া যায়, যেমন শিক কাবাব, তন্দুরি কাবাব, রেজালা কাবাব, কাকোরি কাবাব ইত্যাদি।
কাবাব আজ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি খাবার।রাস্তার ধারের খাবার থেকে শুরু করে বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয়ও কাবাব পাওয়া যায়।বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের কাবাব রয়েছে, যা স্থানীয় সংস্কৃতি ও রন্ধনপ্রণালীর প্রতিফলন।
কাবাব প্রোটিন, লোহা, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি-র একটি ভালো উৎস।তবে, কাবাব রান্নার সময় ব্যবহৃত তেল ও মসলার পরিমাণের উপর এর পুষ্টিগুণ নির্ভর করে।অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত কাবাব বেশি খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কাবাব শুধু একটি সুস্বাদু খাবারই নয়, এর ইতিহাস ও ঐতিহ্যও বেশ সমৃদ্ধ। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের কাবাব উপভোগ করা যায়। তবে, কাবাব খাওয়ার সময় স্বাস্থ্যের কথাও মাথায় রাখা উচিত।