আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। জট কাটাতে ৩৫তম দিনে ধর্ণামঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সব দাবিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এর পর কি উঠবে ডাক্তারদের কর্মবিরতি? বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে জুনিয়র ডাক্তারদের কালীঘাটের বাড়িতে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারই সন্ধে ৬টায় বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, আলোচনায় ১৫ জন চিকিৎসক সদস্যকে ডেকে ইমেল করা হয়েছে। তবে কি শেষ পর্যন্ত কাটবে জট এখন সেই প্রশ্নই উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
বিকেল ৪.৩০টে মুখ্যমন্ত্রীর সদার্থক পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ইমেল করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানালেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আজকের পদক্ষেপ ইতিবাচক। আমরা আলোচনায় বসতে রাজি। যখন, যেখানে উনি সময় দেবেন, সেখানেই যাব। আমরা নবান্নে মেল করে তা জানিয়েছি। অপেক্ষা করছি, কখন নবান্ন থেকে সময় দেওয়া হবে আমাদের। কিন্তু ৫ দফা দাবি থেকে আমরা সরছি না।” দুপুর ২.০০ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের জিবি বৈঠক শুরু হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুপুর ১.১৫ তে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্ণামঞ্চে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, “সমস্ত সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হল। সব সমিতি বদলে নতুন করে তা গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সমিতিতে থাকবেন ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, নার্সরা। থাকবেন পুলিশ আধিকারিকও।