আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। বিচার চেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিভিন্ন হাসপাতাল এবং সরকারি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়ার চিকিৎসক এবং নার্সরা। আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বহু সংগঠনও। এমনকি ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিচার চেয়ে আন্দোলন তীব্র করেছে বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।আর সেই প্রতিবাদ ঘিরেই ছড়াল ব্যাপক উত্তেজনা। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আরজি কর হাসপাতাল চত্বর। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও পরিস্থিতি সামাল দিতে একেবারে হিমশিম অবস্থা হচ্ছে পুলিশের।
ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের একাংশও। হাসপাতালে কর্মরত জুনিয়ার ডাক্তার এবং পড়ুয়াদের দাবি, কোনও ভাবেই রাজনীতি চলবে না এখানে। পতাকা রেখে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, ‘গো ব্যাক পার্টি পলিটিক্স’ স্লোগান দিতেও শোনা যাচ্ছে অনেককে। ঘটনার পর থেকেই উত্তাল পরিস্থিতি হয়ে আছে আরজি করে। একাধিক দাবিতে আরজি করের মেন গেটের সামনে অবস্থান করছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক মেডিক্যাল এবং হাসপাতাল থেকে মিছিল করে পড়ুয়ারা আসেন হাসপাতালের সামনে। এমনকি বামপন্থী, নকশালপন্থী এবং বিজেপির তরফেও মিছিল আসে।
ক্রমশ বাড়তে থাকে ভিড়। এর মধ্যেই হাসপাতালের গেট আটকে দাঁড়ান আরজি করের জুনিয়ারা। আন্দোলনকারীদেরও পাল্টা জেদ বাড়তে শুরু করে। একটা সময় ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এরপরেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। প্রথমে আন্দোলনকারী এবং আরজিকরের হাসপাতালের চিকিৎসকরা এবং পরে পাল্টা মারমুখী হয়ে ওঠেন পুলিশ আধিকারিকরা। একের পর এক আন্দোলনকারী ছাত্রকে মারধরে করতে শুরু করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ, তৃণমূলপন্থী লোকজন আন্দোলনকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ইচ্ছা করে আটকে দেওয়া হচ্ছে। আর পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ। যদিও আরজি করের পড়ুয়াদের দাবি, ‘এটা ডাক্তারদের প্রতিবাদ। রাজনৈতিক দল এবং বহিরাগতরা ঢুকে পড়ছে। আমরা কখনই এটা চাই না।’