আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরের দিনই এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে শরীরে মিলেছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। মুখে, ঠোঁটে, পেটে, হাতে-পা ও যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন এমনকি হাড় ভেঙে যাওয়ার কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে এবং প্রশ্ন উঠছে সেখানেই শুধুই কি এক জন জড়িত এই ঘটনায়? আদৌ কী একজনের পক্ষে সম্ভব এই অকথ্য অত্যাচার করা?
সোমবার মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। তাঁরা মৃত চিকিৎসকের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে অবশ্য ফোনে মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তবে এবার সরাসরি পৌঁছে গেলেন তাঁদের বাড়িতে। এই একাধিক প্রশ্নের আবহেই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মমতা কার্যত কলকাতা পুলিশকে তদন্তের সময় বেঁধে দেন। রবিবারের মধ্যে তদন্তের কিনারা না হলে, সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলার সময় পাশেই ছিলেন পুলিশ কমিশনার। মুখ্যমন্ত্রীর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিনীত গোয়েল জানান, সেই সময় ওই ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যাঁরা যাঁরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে একে একে ডাকা হচ্ছে। যদি আরজি করের আন্দোলনকারীদের অন্য কারও উপর সন্দেহ থেকে থাকে, সে কথা পুলিশকে জানানোর জন্য ফের অনুরোধ করেন তিনি। পুলিশ কমিশনার বলেন, “আমরা একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছি। যদি কারও উপর সন্দেহ থাকে, তা আমাদের জানান। নাম গোপন রেখেও জানাতে পারেন। সশরীরে এসেও জানাতে পারেন।” উল্লেখ্য, রবিবারই মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়েছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। তিনি মৃতার পরিবারের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টও তুলে দেন। এর পর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনার দেখা করেন পরিবারের সঙ্গে। একাধিক অভিযুক্ত জড়িত থাকার যে প্রশ্ন উঠেছে সেই তত্ত্ব যে পুলিশ একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না, তা-ও কার্যত বুঝিয়ে দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, “যদি আরও কেউ জড়িত থাকেন, আমি নিশ্চিত আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে পারবে। তার পরও যদি পরিবার সন্তুষ্ট না থাকে, সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা-ই হবে।”