বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নারকো কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের সপ্তম শীর্ষ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন এবং জাতীয় মাদকদ্রব্য হেল্পলাইন ‘মানস’ চালু করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাদকের হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করলেন। হেল্প লাইন চালু করার পরে অমিত শাহ জানান, ‘এক গ্রাম মাদকও ভারতে ঢুকতে দেবে না’। তিনি মাদক দ্রব্য নিয়ে আরো বেশি করে সতর্কতা জারি করলেন ১৮ জুলাই থেকে। মাদক নিয়ে নতুন হুঙ্কার ছুড়লেন অমিত শাহ।
হেল্পলাইনটি চালু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘মাদকের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াই সরকারের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ’। এনসিওআরডি অর্থাৎ নারকো কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের সপ্তম শীর্ষ বৈঠকের উদ্দেশ্য হল কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারী সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বযয়ের মাধ্যমে দেশে মাদক পাচার এবং তাদের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা। শাহ বলেছেন, যে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকার মাদক পরীক্ষার জন্য সস্তা কিট সরবরাহ করবে যাতে সহজে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির লক্ষ্যের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম করা এবং তার জন্য তরুণ প্রজন্মকে মাদকের অভিশাপ থেকে দূরে রাখা খুবই জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন পুরো মাদক ব্যবসাই মাদক সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত, মাদক থেকে অর্জিত অর্থ দেশের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকল এজেন্সির লক্ষ্য শুধু মাদক সেবনকারীদেরই ধরা নয়, পুরো নেটওয়ার্ককে ধ্বংস করা । আমরা কোথাও থেকে এক গ্রাম মাদকও ভারতে প্রবেশ করতে দেব না এবং ভারতের সীমান্তকে মাদক ব্যবসার জন্য কোনোভাবেই ব্যবহার করতে দেব না।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এনসিওআরডি-এর সপ্তম শীর্ষ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এবং জাতীয় মাদকদ্রব্য হেল্পলাইন ‘মানস’ চালু করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সরকার শীঘ্রই মাদকের প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত সস্তা কিট সরবরাহ করতে চলেছে। যা মামলা দায়ের করাকে করা আরও সহজ করবে। এই উপলক্ষ্যে অমিত শাহ মাদক চোরাকারবারিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, আমরা কোথাও থেকে এক গ্রামও মাদক ভারতে প্রবেশ করতে দেব না, ভারতের সীমান্তও মাদক ব্যবসার জন্য ব্যবহার করতে দেন না।