More
    Homeখবর“দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক”- লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে বিস্ফোরক দাবি কুনালের!

    “দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক”- লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে বিস্ফোরক দাবি কুনালের!

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই পাখির চোখ রাজ্যের শাসকদল। অভিযোগ উঠেছিল যে গোটা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। রাজ্য সন্দীপ ঘোষকে আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে অন্য হাসপাতালে নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা-ও বিস্তর সমালোচিত হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে পাল্টা আক্রমণের পথেই যে হাটছে তৃণমূল সেই ইঙ্গিত কুনালের মন্তব্যেই স্পষ্ট। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পে যাঁরা থাকতে চাইছেন না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার। এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

    শুক্রবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে কুণাল লিখেছেন, ‘‘যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পে থাকতে চান না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক।’’ সমাজমাধ্যমে আরজি করের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা যাঁরা করছেন, তাঁদের কটাক্ষ করে কুণাল আরও লিখেছেন, ‘‘ফেসবুকে বিকৃত বিপ্লবী না সেজে ফেরত ফর্ম ফিল-আপ করুন।’’

    তৃণমূল যে আরজি করের ঘটনার বিচার চায় এবং দোষীদের শাস্তি চায়, পোস্টে আরও এক বার তা মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল। লিখেছেন, ‘‘আমরাও আরজি করে দোষী বা দোষীদের ফাঁসি চাই। কুরাজনীতি নয়।’’ সমাজমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করে অনেকে বলেছিলেন, যে রাজ্যের সরকার নারীসুরক্ষাই নিশ্চিত করতে পারে না, সেই রাজ্যে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, ‘কন্যাশ্রী’-র মতো নারীকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কী অর্থ? এ প্রসঙ্গে প্রথম বলেছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা। একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা কন্যাশ্রী বা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা নেন, তাঁরা তা নেওয়ার আগে তাঁদের ঘরের লক্ষ্মী সুরক্ষিত কি না, এক বার ভাববেন। রাজ্য এবং দেশবাসীর কাছে এই অনুরোধ রইল।’’

    এর পরেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রচারে নামে বিরোধীরা। একে ‘কুরাজনীতি’ বলে উল্লেখ করেছেন কুণাল। তাঁর মতে, যাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে চাইছেন না, তাঁরা যাতে তা ফেরত দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা দরকার। তৃণমূলের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যত দূর জানি উনি তো সরকারের কেউ নন। তবে কথাটা ঠিকই বলেছেন। কারণ, তৃণমূলের রাজনীতি মানুষকে পণ্য বানানোর রাজনীতি। ওঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যে তিনি একটা সত্যি কথা সামনে এনে দিয়েছেন। সেটা হল, মহিলাদের ভোট আর আবেগ কিনতেই এই প্রকল্প সরকার চালু করেছিল। এখন স্বতঃস্ফূর্ত মতামতকে তারা অল্প দামে কিনে নিতে চায়।’’

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments

    AI Calculator

    Calculate Facebook Earning and calculate EMI for loans, or compute GST.


    This will close in 20 seconds