আরজি কাণ্ডে রীতিমতো ফুঁসছে বাংলা। বিচার চেয়ে দেশের কোণে কোণে চলছে প্রতিবাদের গর্জন। প্রতিবাদে শামিল আট থেকে আশি। ইতিমধ্যে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধও তাঁদের অবস্থান থেকে সরেননি তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বিনা চিকিৎসায় এ পর্যন্ত মারা গিয়েছে তেইশ জন। সোমবার শুনানির শুরুতেই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান রাজ্যে জুনিয়ার চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে সেখানে কোনও পরিষবা মিলছে না। এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট এদিন সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হয়েছে।
তাতে রাজ্যের আইনজীবী জানান মৃত্যুর পাশাপাশি আনুমানিক ৬ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার ওপর বহু মানুষ ভরসা করে থাকেন। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কার্ডিওজি বা অঙ্কোলজির চিকিৎসা করার জরুরি প্রয়োজন থাকলেও যাঁদের আর্থিক সঙ্গতি নেই, তাঁরা রীতিমতো অসহায় পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। সিব্বল জানান সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের কাজে ফিরতে বললেও তাতে ভ্রুক্ষেপ না করে জুনিয়ার চিকিৎসকরা কর্মিবরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকী শীর্ষ আদালত যে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কথা বললেও তা মানেননি তাঁরা। গত কয়েকদিনের প্রতিবাদ আন্দোলনে ৪১জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। একজনের চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আবেদন জানিয়েছিল চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নয়া দিল্লির এইমস থেকে শুরু করে চণ্ডীগড়রের জুনিয়ার ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হলে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। তবে আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকেরা তারপরেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আরজি কর হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় তাঁকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়েছে।