দেশের এই মুহূর্তে মর্যাদাপূর্ণ ট্রেন বন্দেভারত এক্সপ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ট্রেন মোদি সরকারের অন্যতম প্রচারের হাতিয়ার ছিল বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কীভাবে রেলের পরিষেবায় বন্দে ভারত বদল এনেছে তা বারবার উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক মন্ত্রীর বক্তব্যে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে সমস্যার মধ্যে পড়ে মাঝ লাইনে থমকাতে হয়েছে বন্দে ভারতের চাকা। বিশেষ করে বাংলায় একাধিকবার হামলা হয়েছে দেশের প্রথম এই সেমি বুলেট ট্রেনটির উপর। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় গোরুর সঙ্গে ধাক্কায় ট্রেনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন পশুর আচমকা উপস্থিতি বারবার চিন্তায় ফেলেছে রেলের শীর্ষ আধিকারিকদের। এই অবস্থায় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। বন্দে ভারতের মতো ‘ভিআইপি’ ট্রেনের যাত্রাপথ নিরাপদ করতে ইস্পাতের বেড়া তৈরি করছে রেল। গোটা দেশজুড়েই এই কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বাংলা এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাতেও এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। হাওড়া ডিভিশনের ২০০ কিলোমিটার রাস্তায় ইস্পাতের বেড়া বসানোর কাজ হয়েছে। কার্যত বিপুল টাকা খরচ করে এই কাজ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে। মূলত বন্দে ভারত, রাজধানী, শতাব্দীর মতো হাই-প্রোফাইল ট্রেন যে সমস্ত লাইন দিয়ে চলাফেরা করে, তার সংলগ্ন এলাকাতেই এই বেড়া বসানো হয়েছে বলে খবর।
বেড়া বসেছে হাওড়া-খানা কর্ড লাইনে। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাওড়া ডিভিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, হাওড়া-পুরী এবং হাওড়া-রাঁচি, তিনটি বন্দে ভারত হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে। কিন্তু বারবার একাধিক লাইনে বিভিন্ন প্রাণী ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি হাওড়া ডিভিশনও এই ঘটনার বহুবার সাক্ষী হয়েছে বলেও জানান ওই আধিকারিক। এরপরেই ইস্পাতের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মাত্র ৮ মাসের মধ্যে এই ইস্পাতের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পূর্ব রেলের আশা, এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও রেলের উপর যে কোনও ধরনের প্রাণী কিংবা পশুর আসা ঠেকানো যাবে। শুধু তাই নয়, এর আগে একাধিকবার বন্দে ভারতের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় বেড়া থাকলে তা টপকে আসা কিছুটা হলেও থামানো সম্ভব বলেও মনে করছেন রেল আধিকারিকরা। রেলের দাবি, যাত্রীদের সুরক্ষা এবং পরিষেবার প্রতি নজর রাখাটাও খুব প্রয়োজন তাই এই ব্যবস্থাটি নেওয়া হয়েছে।