বাজারে এখন সহজলভ্য ব্রাহ্মী শাক। শুধু সুস্বাদু খাবারই নয়, এর অফুরন্ত ঔষধি গুণাগুণের জন্যও এটি বহুদিন ধরে পরিচিত। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পর্যন্ত, ব্রাহ্মী শাকের উপকারিতা অসংখ্য।
স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি: ব্রাহ্মী শাকে প্রচুর পরিমাণে ‘ব্যাকোসাইড’ নামক উপাদান থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাকোসাইড মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণকারী অংশে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ুকোষের মধ্যে সংযোগ উন্নত করে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং শেখা দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়: ব্রাহ্মী শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যাডাপ্টোজেনিক বৈশিষ্ট্য মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কে ‘সেরোটোনিন’ এবং ‘ডোপামিন’ এর মাত্রা বাড়িয়ে শিথিলকরণকে উৎসাহিত করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ব্রাহ্মী শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ঠান্ডা, সর্দি, কাশি এবং জ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে: ব্রাহ্মী শাকে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল এবং পেট ফোলাভাবের সমস্যা দূর করতে পারে।
ত্বক ও চুলের যত্ন: ব্রাহ্মী শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে, ব্রণ ও ফুসকুড়ি দূর করতে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ব্যবহার: ব্রাহ্মী শাক তরকারি, সালাদ, স্যুপ, এমনকি চা তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে ব্রাহ্মী শাকের গুঁড়ো ও ক্যাপসুলও পাওয়া যায়।
সতর্কতা: গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের ব্রাহ্মী শাক সেবনের আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ব্রাহ্মী শাক শুধু সুস্বাদু খাবারই নয়, এর অফুরন্ত ঔষধি গুণাগুণের জন্যও এটি অপরিহার্য। নিয়মিত ব্রাহ্মী শাক খাওয়া আপনার মস্তিষ্ক, শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।