লোকসভা নির্বাচনের আবহে ও নির্বাচনী প্রচারে ৪০০ পার-এর স্লোগান দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবির। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ২৯২টি আসন পেয়েছে এনডিএ। বিজেপি দেশজুড়ে পেয়েছে মাত্র ২৪০টি আসন। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করলেও ভোটারদের মন জয় করতে পারেনি বিজেপি! ফৈজাবাদে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী।
এবার অযোধ্যা যে লোকসভার অন্তর্গত সেখানেও বিজেপির হারকে সামনে রেখে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। তাঁর মন্তব্য, ‘নরেন্দ্র মোদির রাম মন্দির উদ্বোধন উচিত হয়নি। অযোধ্যাবাসী বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। রামকে নিয়ে রাজনীতি করার ফলস্বরূপ সেখানে বিজেপির এই হার।’
বৃহস্পতিবার বোলপুরে ছিলেন শঙ্করাচার্য। বুধবার তিনি গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে ভক্ত এবং স্রোতাদের সামনে বলেন, ‘আমার সঙ্গে যারা টক্কোর নিয়েছে শেষ হয়ে গিয়েছে। মোদিজির উচিত আমার সঙ্গে টক্কর না নেওয়া।’ শুধু মোদি নন, যোগী আদিত্যনাথকেও একহাত নেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘অযোধ্যায় মানুষ বিজেপির প্রার্থীকে পরাজিত করে জবাব দিয়ে দিয়েছে। রাম মন্দির উদ্বোধনে যদি ভালো প্রভাব পড়ত তাহলে বিজেপি অযোধ্যায় অন্তত জিতত। অলৌকিক আচার না মানলে গণতন্ত্র থাকে না। নরেন্দ্র মোদি রাজনীতিক। তাঁর রামমন্দির উদ্বোধন করা উচিত হয়নি।’
তিনি বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর দাবি, ‘জ্যোতি বসু আমার সঙ্গে টক্কর নিয়েছিলেন। লালু প্রসাদ যাদব টক্কর নিয়েছিলেন, মুলায়ম সিং যাদব টক্কর নিয়েছিলেন। শেষ হয়ে গিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদির উচিত আমার সঙ্গে টক্কর না নেওয়া।’