চিরতা, যা ‘সোয়ার্টি চেরাটা’ নামেও পরিচিত, একটি ঔষধি গুল্ম যা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। তেতো স্বাদের এই গুল্মটিতে প্রচুর ঔষধি গুণাবলী রয়েছে যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে সহায়ক।
সাম্প্রতিক সময়ে, রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে চিরতার জল পান করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
চিরতার জল পানের কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা :
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: চিরতাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ঠান্ডা, সর্দি, জ্বরের মতো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে: চিরতা হজমশক্তি উন্নত করতে এবং অজীর্ণ, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলি দূর করতে সাহায্য করে।
মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে চিরতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং মধুমেহের চিকিৎসায় উপকারী হতে পারে।
ত্বকের যত্ন: চিরতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি, ekzema চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে।
** ওজন কমানো:** চিরতা চর্বি পচন এবং চর্বিকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে, যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।
চিরতার জল তৈরির পদ্ধতি:
একটি চা চামচ চিরতার গুঁড়া এক কাপ গরম জলে 10-15 মিনিট ফুটিয়ে নিন।
ছেঁকে ঠান্ডা করে পান করুন।
গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের চিরতা এড়ানো উচিত।
যদি আপনার কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকে বা নিয়মিত ওষুধ খান, তাহলে চিরতা সেवनের আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
অতিরিক্ত মাত্রায় চিরতা পেট খারাপ, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার কারণ হতে