গান আমাদের সকলেরই মনকে শান্ত করার এক মোক্ষম উপায়। গান শুনলে যেমন শান্ত হবে তেমনি কাটবে হতাশাও। ব্যথা–বেদনায় ভারাক্রান্ত মানুষ সাময়িক ভাবে হলেও চনমনে হয়ে উঠবে। রাতের পর রাত যারা অনিদ্রায় ভুগছেন সেইসব রোগীর চোখে নেমে আসতে পারে শান্তির ঘুম। সমস্যায় জর্জরিত মানুষ পেতে পারে গান শুনে সমাধান।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত গান শুনলে মন এবং মস্তিষ্কের ভিতরে ‘সুখী’ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরের তো বটেই, মনের অসুখবিসুখও কাছে ঘেঁষতে পারে না। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চাবিকাঠিও আছে গানের মধ্যে।
নিয়মিত গান শোনার উপকারিতা কী কী?
হাইপোথ্যালামাস হল সব আবেগের কেন্দ্র। গান সোনার ফলে সেই সুর মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অবধি পৌঁছয়। গানের সুরে হাইপোথ্যালামাস উদ্দীপিত হয়, কর্টিসল নামে ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ কমে যায়। অতিরিক্ত উৎকণ্ঠাও বশে আসে। ফলে মনের যত রোগব্যধি তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। গান শুনলে রক্তচাপ কমে। হৃদস্পন্দন, নাড়ির গতি ও রক্তচাপ যদি বেড়ে যায়, তা হলে তা কমতে পারে গানের সুরেই। গান শুনলে স্নায়ুর চাপ কমে। স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়ে। যে কোনও কাজেই উৎসাহ পাওয়া যায়।
তবে সর্বপরি কিন্তু গান হল একাকীত্বের সঙ্গী। একা কোনও সফরে থাকলে অথবা দীর্ঘ পথযাত্রায় মন ভাল রাখে গান। কোনও কারণে অবসাদ হলে অথবা অনেকের মাঝেও একা বোধ হলে গান শুনুন। নিমেষে মনের ভিতর জমে থাকা গুমোট মেঘ কেটে যাবে।