আরজি কর মামলা সিবিআই দফতরের হাতে যাওয়ার পর থেকেই একের পর এক ব্যক্তিকে তলব করা হচ্ছে সিবিআই দফতরে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে কিছু চিকিৎসকের বক্তব্য জানাতে সিবিআই দফতরে গেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। সিজিও কমপ্লেক্সে একটি গোলাপী ফাইল নিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই ফাইলে কিছু চিকিৎসকদের বক্তব্য রয়েছে এই ঘটনা নিয়ে। সাংবাদিকদের এমনই জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। হঠাৎ করে কুণাল ঘোষের কাছে কি এমন কথা জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
তদন্ত শুরুর পরে কলকাতা পুলিশকে সেই তথ্য না দিয়ে কেন সরাসরি সিবিআই দফতরে সেই তথ্য জমা দিতে চলে এলেন তিনি। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, তদন্ত যেহেতু এখন সিবিআইয়ের হাতে এসেছে সেকারণে জুনিয়র ডাক্তারদের কিছু বক্তব্য তিনি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিতে এসেছেন।
কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘পুলিশকে আমি এই তথ্য দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তদন্ত যেহেতু সিবিআই করছে তাই পুলিশ জানিয়ে দেয় যেন সরাসরি গিয়ে সিবিআইয়ের হাতে সেই তথ্য দিয়ে আসি। কারণ পুলিশের পক্ষে এখন সিবিআই দফতরে গিয়ে সেই সব তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমি নিজেই এসেছি এই তথ্য গুলো দিতে।’ কুণাল ঘোষের হঠাৎ করে সিবিআইয়ের দফতরে জুনিয়র ডাক্তারদের কোন বক্তব্য তিনি জানাতে এলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে দলীয় সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় যখন আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তখন পাল্টা সুখেন্দু শেখরকে নিশানা করেছিলেন কুণাল ঘোষ।