প্রহর গোনা শুরু হয়েছিল কিছুদিন আগে থেকেই। আরজি কর কাণ্ডের মামলায় দ্বিতীয় শুনানিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে তাকিয়েই চলছিল অধীর অপেক্ষা। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে আছড়ে পড়া প্রতিবাদের মধ্যেই সোমবার দ্বিতীয় দফার শুনানির শুরু থেকেই ছিল রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। একেবারে ঘড়ির কাঁটা মেনেই শুরু হয় শুনানি।
সোমবার মামলা শুরু হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়,বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। স্ট্যাটাস রিপোর্ট ভালো করে খুঁটিয়ে পড়েন তাঁরা। এরপর প্রধান বিচারপতি জানান সিবিআই যেভাবে তদন্ত করছে, তা তারা চালিয়ে যাক। এরপর আরও একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে তারা। আগামী মঙ্গলবার ফের শুনানি হতে পারে সর্বোচ্চ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন আইনজীবীর মতে শীর্ষ আদালতের এহেন নির্দেশের অর্থ তারা তদন্তের ব্যাপারে সিবিআইয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই দ্রুত স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
এদিন শুনানি চলার সময় প্রধান বিচারপতি সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস রিপোর্টে উল্লেখ করা বেশ কিছি বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে প্রশ্ন করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত হাসপাতালে কখন ঢুকছে বা কখন বেরোচ্ছে। তিন জানতে চান এরপরের সিসিডিভি ফুটেজ কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে ? এরপরই সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান সকাল সাড়ে নটার সময় নির্যাতিতার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর দেহ ছিল প্রায় অর্ধনগ্ন। জিনসের প্যান্ট ও অন্তর্বাস কিছুটা দূরে পড়েছিল। এরপর যে সব নমুনা সংগ্রহ করা হয় তা পাঠানো হয় ফরেনসিক ল্যাবে। কে ওই নমুনা সংগ্রহ করেছে, সেটা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকার চাইছে ওই নমুনা ফের ফরেনসিক তদন্তের জন্য এইমস বা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হোক। এ ব্যাপারে সিবিআই ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। তা শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কোন পথে তদন্ত এগিয়ে নিতে চাইছে, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলতে চান না। সোমবারের মধ্যে সিবিআই আরও একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিলে তদন্তের বিষয়টি স্পষ্ট হবে।