আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা। তাঁকে অপসারণের দাবিও করা হয়েছিল। সেইসময় তিনি রীতিমতো বাধ্য হয়েছিলেন আর জি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিতে। কিন্তু শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরাই নয় সন্দীপের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ তুললেন তারই সহকর্মী। হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ বিক্রি করতেন সন্দীপ ঘোষ! পাচারচক্রের শিকড় ছড়িয়ে বাংলাদেশেও! এমন বিস্ফোরক দাবিই করলেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার তথা সন্দীপের সহকর্মী আখতার আলি। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছেন তিনি।
আখতার আলির কথায়, “হাসপাতালে বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে ব্যবসা করতেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল।” এমনকী, হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্র্য বা বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও বাইরে বিক্রি করতেন সন্দীপ! নিজের অতিরিক্ত নিরাপত্তরক্ষীদের কাছেই সেই সব সামগ্রী বিক্রি করতেন তিনি! সীমান্তের ওপারেও পাচার হত বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও। সাক্ষাৎকারে একের পর এক অভিযোগ করেছেন আখতার আলি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন আখতার আলি। সেই সময় সন্দীপের বিরুদ্ধে যে তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছিল তাতে আখতার আলিও ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, স্বাস্থ্যভবনে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরও সন্দীপের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটে রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিনই বদলি করে দেওয়া হয় আখতার আলিকে। এমনই অভিযোগ করেছেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার।